পোস্টগুলি

● দেশ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভারতে আজহারীর নামে ভুয়া প্রচারণা: প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

ছবি
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ায় ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর নামে একটি ভুয়া মাহফিলের প্রচারণা চালানো হচ্ছে, যা নিয়ে প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই প্রচারণার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আজহারী নিজেই। তার মতে, কিছু অসৎ আয়োজক তার নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা আদায় করছে, যা তারা অন্যদের প্রতারণা করতে ব্যবহার করছে। ড. মিজানুর রহমান আজহারী তার ফেসবুক পেইজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, "সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ায় আমার নামসহ কয়েকজন আলেমের নাম ব্যবহার করে একটি ভুয়া মাহফিলের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আয়োজক পক্ষ আমার নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে। এটি একটি সুস্পষ্ট প্রতারণা ও মিথ্যাচার।" আজহারী এই বিষয়ে আরো বলেন, “এই মাহফিলের সাথে কোনোভাবেই আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। বর্তমানে নিজ দেশে উন্মুক্ত মাঠে আমার সব তাফসির মাহফিল স্থগিত ঘোষণা করেছি, এমতাবস্থায় ভারতে কোনো প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা আমার নেই।” অভিযোগের বিস্তারিত ড. আজহারী তার পোস্টে আরও বলেন, এই ধরনের ভুয়া...

একই স্থানে বারবার ভূমিকম্পের কারণ জানা গেল: নরসিংদী অঞ্চলে নতুন রহস্য উদঘাটন

ছবি
বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫, দেশের বিভিন্ন স্থানে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, যার উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী। ২১ নভেম্বরের পর এটি সপ্তম ভূমিকম্প, যা এই অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একই স্থানে বারবার ভূমিকম্প হওয়ার একটি বিশেষ কারণ রয়েছে, যা মূলত আফটারশক বা ভূমিকম্পের পরবর্তী ছোটধাপ হতে পারে। এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.১ রিখটার স্কেলে, এবং এর গভীরতা ছিল ৩০ কিলোমিটার। ভূমিকম্পের প্রেক্ষাপট নরসিংদী, যা ঢাকা শহরের প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২১ নভেম্বরের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর থেকে প্রায় ৬টি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল এই অঞ্চলে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এই ভূমিকম্পগুলির মধ্যে অধিকাংশই আফটারশক। কিন্তু এ ধরনের ঘনঘন ভূমিকম্প কীভাবে একই অঞ্চলে ঘটছে, এই প্রশ্নটি বড় হয়ে উঠেছে। আফটারশক কি? আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির জানিয়েছেন, "একটি বড় ভূমিকম্পের পর ছোট ছোট ভূমিকম্পের সংঘটন প্রাকৃতিক একটি প্রক্রিয়া। এগুলিকে আফটারশক বলা...

ফের বিবাহবন্ধনে আবু ত্বহা ও সাবিকুন নাহার: আবেগঘন বার্তায় জানালেন নতুন শুরু

ছবি
ইসলামিক বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সাবিকুন নাহারকে ঘিরে আলোচনার শেষ নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহুদিন ধরেই তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা আলোচনা হয়। তবে বিচ্ছেদের মাত্র এক মাসের মধ্যেই আবার নতুন করে সম্পর্ক পুনর্গঠনের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তা নতুন আলোচনার জন্ম দেয়। ২ ডিসেম্বর সাবিকুন নাহার নিজ ফেসবুক পোস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, তারা আবারও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এ পোস্টে ছিল আবেগ, আত্মসমালোচনা, কৃতজ্ঞতা এবং সন্তানদের জন্য গভীর মমতার প্রকাশ। বিচ্ছেদ থেকে ফের সংসারে—ঘটনার পেছনের গল্প ২১ অক্টোবর তাদের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই অনেকে বিস্মিত হন। কারণ দাম্পত্য জীবনে তাদের ভালবাসা, পারস্পরিক সম্প্রীতির কথা বহুবারই আলোচনায় এসেছে। তবে জীবন সবসময় একইরকম সরল পথে চলে না। ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, ভুল বোঝাবুঝি, মানসিক চাপ—সব মিলিয়ে তারা বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে বাধ্য হন। কিন্তু এই বিচ্ছেদ যে তাদের জন্য স্থায়ী সিদ্ধান্ত ছিল না, তা স্পষ্ট হলো আজকের পুনরায় বিবাহের ঘোষণায়। সাবিকুন নাহারের আবেগঘন পোস্ট: পুরনো ভুল, নতুন সিদ্ধান্ত তার পোস্ট...

সেই সময়ে সেনা অফিসারদের ভূমিকা নিয়ে প্রকাশ্যে এলো নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য!

ছবি
বাংলাদেশের পিলখানায় ২০০৯ সালের নৃশংস বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নতুন তথ্য এসেছে। জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে জানা গেছে, সিপাহী সেলিম ও মইনুদ্দিনসহ সেনা অফিসাররা হত্যাকাণ্ডের আগের দিন রশি ও চাকু প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেখানেই লে. কর্নেল শামস মেজর রিয়াজের কাছ থেকে অস্ত্র নিতে বলেন। ১০০০-১৫০০ শব্দের গুগল এডসেন্স টার্ম ও পলিসি অনুসারে ইউনিক নিউজ স্ক্রিপ্ট: ২০০৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, পিলখানায় ঘটে যাওয়া বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস) হত্যাকাণ্ডটি দেশবাসীকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এই ঘটনা শুধু একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ছিল না, বরং এটি এক গভীর ষড়যন্ত্রের ফলস্বরূপ ঘটেছিল। সেই সময়ের সেনা অফিসারদের ভূমিকা এবং তাদের পরিকল্পনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সম্প্রতি উঠে এসেছে, যা আরও একবার এই ঘটনার অন্ধকার দিকগুলোকে উন্মোচন করেছে। অধ্যায় ১: পিলখানার রাতের বৈঠক ২০০৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, সন্ধ্যায় ঢাকা শহরের পিলখানায় ৪৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের মাঠে এক গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি আয়োজন করেন সিপাহী মইনুদ্দিন, যিনি পরে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবে পরিচিত হন। এই বৈঠকে অং...

ইউক্রেনের ড্রোন হামলার পর কায়রোস জাহাজের বাংলাদেশি নাবিকেরা বেঁচে ফিরলেন: এক ভয়াবহ অভিযানের বর্ণনা

ছবি
২০২৫ সালের ২৮ নভেম্বর, কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের নৌবাহিনী কর্তৃক চালানো এক ভয়াবহ ড্রোন হামলার পর এমটি কায়রোস নামে একটি তেল পরিবহনকারী জাহাজের ২৫ সদস্যের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি নাবিক প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন। এই জাহাজটি তুরস্কের উপকূলের কাছে যখন কৃষ্ণসাগর অতিক্রম করছিল, তখনই প্রথম ড্রোন হামলা শুরু হয়। হামলার পর সাগরের বিস্তীর্ণ জলরাশিতে দগ্ধ হয়ে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে এবং ট্যাংকারের বিশাল অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনায় জাহাজের ২৫ জন নাবিকের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি, যারা হলেন: মাহফুজুল ইসলাম (নরসিংদী), আল আমিন (কুষ্টিয়া), হাবিবুর রহমান (ঢাকা), এবং আজগর হোসাইন (চট্টগ্রাম), তাদের জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। হামলার পরে যেভাবে তারা বেঁচে ছিলেন, তা জানিয়ে তাদের বর্ণনা শুনলে যে কেউ ভয় পেয়ে যাবে। হামলার মুহূর্ত: বিবৃতিতে, মাহফুজুল ইসলাম জানাচ্ছেন যে, জাহাজে প্রথম হামলার পর প্রচণ্ড ঝাঁকুনি অনুভূত হয় এবং জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। ঠিক এরপরেই দ্বিতীয় ড্রোন হামলা হয়, যেখানে তেল সংগ্রহের সিস্টেমে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন জ্বলে ওঠে। এ সময় জাহাজের সব নাবিকের মনে হত, বাঁচার আর কোনো উপায় নেই। তাদের স...

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সেনা অভিযান নিয়ে ভারতের হামলার হুমকি, জেনারেল মঈনের বিস্ফোরক সাক্ষ্য

ছবি
২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার প্রকৃত পেছনের রহস্য এবার সামনে এসেছে। জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন পিলখানা ট্র্যাজেডির তদন্তে নতুন তথ্য উন্মোচন করেছে। কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সময় সেনা অভিযান চালানোর প্রস্তুতি থাকলেও ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের ওপর হামলার হুমকি ছিল, যার কারণে অভিযানে যাওয়া সম্ভব হয়নি। বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ষড়যন্ত্রের কাহিনি ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় ঘটে যাওয়া বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা এক বেদনাদায়ক অধ্যায়। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ৫৭ জন কর্মকর্তা নিহত হন এবং এক ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটে। তবে, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড , যার পেছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত এবং শত্রুদের ইন্ধন ছিল। কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিডিআর বিদ্রোহটি আওয়ামী লীগ দলের অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল, এবং এর মূল সমন্বয়কারী হিসেবে তৎকালীন এমপি শেখ ফজলে নূর তাপস র নাম উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, এই হত্যাকাণ্ডের সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা , যা বিষয়টির আরও গভীরে নিয়ে যায়। ভারতের হুমকি:...

বঙ্গোপসাগরে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলো বাংলাদেশ নৌবাহিনী, সফলভাবে সমাপ্ত হলো "বাৎসরিক সমুদ্র মহড়া-২০২৫"

ছবি
ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে ৩০ নভেম্বর, ২০২৫, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বঙ্গোপসাগরে তারা সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে, যা ছিল "বাৎসরিক সমুদ্র মহড়া-২০২৫"-এর চূড়ান্ত পর্ব। এই মহড়ার মাধ্যমে নৌবাহিনী তাদের যুদ্ধ প্রস্তুতি, রণকৌশল এবং দেশীয় সমুদ্রসীমা রক্ষার দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। সমুদ্র মহড়াটি ৫ দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বাংলাদেশের নৌবাহিনী, বিমা নবাহিনী এবং কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা অংশগ্রহণ করে। মহড়ার মূল উদ্দেশ্য এই মহড়ার প্রধান লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের সমুদ্র সীমা রক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, জলদস্যুতা দমন, এবং সমুদ্র পথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এর পাশাপাশি, উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও ছিল অন্যতম উদ্দেশ্য। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই মহড়া দেশের সামরিক সক্ষমতার উৎকর্ষ এবং সমুদ্র প্রতিরক্ষা কৌশলগুলোকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরেছে। মহড়ায় অংশগ্রহণকারী বাহিনী ও সরঞ্জাম মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজ , যেমন ফ্রিগেট, করভেট, ওপিভি, মাইন সুইপার, পেট্রোলক্রাফ্ট, মিসাইল বোটসহ...

ইতালি ৫ লাখ কর্মী নেবে! জানুন আবেদন প্রক্রিয়া এবং শর্তাবলী

ছবি
ইতালি আগামী তিন বছরে পাঁচ লাখ বিদেশি কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এই সুযোগটি বিদেশি কর্মীদের জন্য ইতালির বাজারে কাজের সুযোগ উন্মুক্ত করবে, বিশেষত কৃষি, পরিবহণ, নির্মাণ, উৎপাদন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে। নতুন ফ্লো ডিক্রি বা "ডেক্রেতো ফ্লুসি" অনুসারে, এ কর্মী নিয়োগের জন্য বেশ কিছু শর্ত এবং নিয়মাবলী নির্ধারণ করা হয়েছে। এসময়, ইতালির নিয়োগকর্তা ও অভিবাসী কর্মীদের জন্য একটি সুসংগঠিত আবেদন প্রক্রিয়া রাখা হয়েছে, যাতে এই অভিবাসন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন হতে পারে। ফ্লো ডিক্রি কী? ফ্লো ডিক্রি বা "ডেক্রেতো ফ্লুসি" হল ইতালির সরকারের একটি অভিবাসন পরিকল্পনা, যার মাধ্যমে প্রতি বছর কতজন বিদেশি কর্মী ইতালিতে আসতে পারবেন এবং তাদের জন্য কী ধরনের শর্ত প্রযোজ্য হবে তা নির্ধারিত হয়। এই ডিক্রি মূলত শ্রমবাজারের ঘাটতি পূরণ, নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা এবং দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করে। ফ্লো ডিক্রির অধীনে, বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবাসী কর্মী নেওয়ার সুযোগ প্রদান করা হয়, যাদের জন্য নির্দিষ্ট কোটা নির্ধারিত থাকে। ২০২৬-২০২৮ সালের জন্য ইতালি পাঁচ লাখ ব...

টিকটকে পরকীয়া প্রেম, ৬ বছরের শিশুকে রেখে পালালো মা: একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা

ছবি
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কবিরাজপুর ইউনিয়নের চাঁনপট্টি গ্রামে ঘটে যাওয়া একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। টিকটকে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে, একটি ছোট্ট শিশুকে ছেড়ে চলে গেছেন তার মা। এই ঘটনা শুধু পরিবারের জন্য নয়, পুরো সমাজের জন্য একটি বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে। এমন অমানবিক ঘটনা সত্যিই ভাবিয়ে তোলে আমাদের সমাজের মূল্যবোধ এবং নৈতিকতার দিকে। মায়ের পরকীয়ায় শিশুটি একা শিশু মোহাম্মদ বায়েজিদ (৬) কে তার মায়ের আদর, যত্ন ও ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হওয়া, মর্মান্তিক। ঘটনাটি ঘটে রাজৈর উপজেলার চাঁনপট্টি গ্রামে, যেখানে রতনা বেগম নামের এক নারী তার ৬ বছরের ছেলেকে ছেড়ে চলে যান। টিকটক ব্যবহারের মাধ্যমে, রতনা পরকীয়া সম্পর্ক স্থাপন করেন এক যুবক শুভঙ্কর নামের একজনের সঙ্গে, যিনি চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। এটি ছিল একটি দূরবর্তী প্রেম, তবে তা এতটাই গভীর হয়ে ওঠে যে, রতনা তার পরিবার এবং সন্তানের সবকিছু ছেড়ে চলে যান। শিশু বায়েজিদ, যার বয়স মাত্র ৬ বছর, নিজের মুখে জানিয়েছে, “আমার মা পঁচা। এক বেডার সাথে দিন-রাত কথা বলে। আমাকে কোনো আদর করে না। ফোন আসলেই ঘরের বাহিরে চলে যেত।...

দুই সন্তান রেখে কুয়েতে প্রেমিককে বিয়ে! দেশে ফিরে স্বামীর স্বীকৃতি চাইতে এসে বিপাকে রুমা আক্তার!

ছবি
বাংলাদেশের ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার দক্ষিণ কয়রাটি গ্রামে গত শনিবার একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে, যা পুরো এলাকাতে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। দুই সন্তানের মা, রুমা আক্তার (৩৬), যিনি দীর্ঘদিন ধরে কুয়েতে বসবাস করছিলেন, তিনি সেখানে পরিচিত হন এক যুবকের সঙ্গে, এবং পরে তাকে বিয়ে করেন। তবে এই বিয়ের পর, তার দেশে ফিরে আসা এবং স্বামীর স্বীকৃতির দাবিতে অবস্থান নেওয়ার ঘটনা গ্রামে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। কুয়েতে রুমা আক্তারের নতুন জীবন: প্রেম এবং বিয়ে রুমা আক্তার ময়মনসিংহ জেলার নরসিংদী সদরের চিনিসপুর ইউনিয়নের দাসপাড়া ঘোড়াদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বিবাহিত জীবন কাটিয়েছেন এবং দুই সন্তানের মা। কিন্তু প্রায় দুই বছর আগে, রুমা আক্তার কুয়েতে চলে যান, যেখানে তিনি একটি হাসপাতালে সেবিকার কাজ শুরু করেন। কুয়েতে তার পরিচয় হয় নান্দাইলের রাজগাতি ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. নুর নবীর (৩০) সঙ্গে। কিছুদিন পর, রুমা তার প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে নুর নবীর সাথে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। এ ঘটনায়, রুমা আক্তারের দ্বিতীয় বিয়েটি তার পরিবারের কাছে ছিল একটি বড় ধাক্কা, কারণ তাদের মধ্যে কোনো আলোচনা ব...

বাংলাদেশে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা: দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ

ছবি
বিশ্বব্যাপী ভূমিকম্পের কারণে বিপর্যয়ের চিত্রগুলো দিন দিন প্রকট হচ্ছে, আর এরই মধ্যে বাংলাদেশেও বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের ভূতাত্ত্বিক অবস্থান এবং টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল হিসেবে ভবিষ্যতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের হুমকি অনেক বেশি। বিশেষ করে, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় থাকা ‘মেগাথার্স্ট’ ফল্ট থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টি কেন উদ্বেগজনক? বাংলাদেশ ভূমিকম্পের জন্য একটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের ঘটনা দেশের স্থাপত্য ও জনজীবনে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। ২০২৪ সালের পর থেকে দেশের ভূমিকম্পের কম্পনের হার বেড়ে যাওয়ায় এই আশঙ্কা আরো বেশি প্রকট হয়েছে। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬ সালের একটি গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার ‘মেগাথার্স্ট’ ফল্ট থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত যে সাবডাকশন জোন রয়েছে, সেখানে ৮০০-১০০০ বছর ধরে শক্তি জমা হতে থাকার কারণে এটি আগামীতে ভয়াবহ ভূমিকম...

তাহাজ্জুদের নামাজরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল ১২ বছরের মাদরাসাছাত্র! কী ঘটেছিল?

ছবি
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বিষ্ণুরামপুর নুরানী হাফিজিয়া মাদরাসায় একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। ১২ বছরের মাদরাসা শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন নামাজরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন, যা স্থানীয় এবং জাতীয় গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। ঘটনার বিস্তারিত: শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে, নোয়াখলা ইউনিয়নের বিষ্ণুরামপুর নুরানী হাফিজিয়া মাদরাসার হেফজ খানায় এক অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আকরাম হোসেন প্রতিদিনের মতো সেই রাতেও তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করছিলেন। তাহাজ্জুদ নামাজে অংশগ্রহণ শেষে, হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে অন্য এক ছাত্রের কোলে ঢলে পড়েন। তৎক্ষণাৎ তার সহপাঠীরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তবে দুঃখজনকভাবে হাসপাতাল পৌঁছানোর আগেই আকরাম মারা যান। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য: এ বিষয়ে বিষ্ণুরামপুর নুরানী হাফিজিয়া মাদরাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মহিন উদ্দিন জানিয়ে বলেন, আকরাম মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার পর থেকে কোরআন হেফজ সম্পন্ন করেন। তিনি ১৬ পারা কোরআন হেফজ করেছিলেন এবং তার নিয়মিত নামাজ ও দ্বীনি কার্যক্রমে ছিলেন অত্যন্ত মনোযোগী। শিক্ষক মহিন উদ্দিন আরও বলেন, শুক্রবার রাত সোয়া ৪...

সীমান্তে ৩০ হাজার টন পেঁয়াজের সংকট: রপ্তানি বন্ধে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দুঃশ্চিন্তা চরমে

ছবি
ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্যের ইতিহাসে অনেক ওঠানামা থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ের চেয়ে এমন বিপর্যয় আগে দেখা যায়নি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের বাজার সুরক্ষায় ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি সাময়িকভাবে সীমিত করায় পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রের একাধিক অঞ্চলে রপ্তানির উদ্দেশ্যে মজুদ করা বিশাল পরিমাণ পেঁয়াজ এখন সীমান্তেই পচে যাচ্ছে। পরিস্থিতি এমনভাবে চরমে উঠেছে যে ব্যবসায়ীরা পানির দরে, অর্থাৎ মাত্র ২ রুপিতে কেজি , পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত ঘাট—**ঘোজাডাঙ্গা, পেট্রাপোল, মাহাদিপুর ও হিলি—**এ মুহূর্তে ট্রাক, গুদাম ও খোলা মাঠে পড়ে আছে কমপক্ষে ৩০ হাজার টনেরও বেশি পেঁয়াজ । রপ্তানিকৃত হলে এসব পেঁয়াজের বাজারমূল্য দাঁড়াত কোটি কোটি রুপি। অথচ এখন তা দিনের পর দিন নষ্ট হয়ে ব্যবসায়ীদের মাথাব্যথা আরও বাড়িয়ে তুলছে। বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের প্রভাব সরাসরি রপ্তানিতে বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে হঠাৎ করেই ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করে। নোটিশ জারি হওয়ার পর থেকে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা আর কোনো নতুন পেঁয়াজ সীমান্ত পয়েন্টে প্রবেশ করাতে পারেননি। যদিও সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশ...

আমগাছে পরী সদৃশ্য প্রাণীর উপস্থিতি! সিরাজগঞ্জে রহস্যময় ঘটনার ছবিতে উত্তাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম

ছবি
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সাম্প্রতিক রাতে ঘটে যাওয়া এক রহস্যময় ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র কৌতূহল, আলোচনা আর বিভ্রান্তি। রবিবার রাত ১১টার দিকে বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ছয়পাড়া গ্রামে আমগাছের ডালে দেখা মিলেছে এক পরী সদৃশ্য পাখাওয়ালা প্রাণী , এমন দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ কবির। তাঁর তোলা তিনটি ছবিও মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। ঘটনার পর গ্রামজুড়ে আলোড়ন, কেউ বলছেন এটি অলৌকিক, কেউ বলছেন ভুল দেখেছেন তিনি, আবার কেউ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার চেষ্টা করছেন। তবে যাই হোক, এই ঘটনার আকস্মিক আবির্ভাব সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি করেছে এক ধরনের রহস্যময় উত্তেজনা। রাতের আঁধারে চোখে ধরা ‘অস্বাভাবিক আলো’ মাসুদ কবির জানিয়েছেন, তিনি নিয়মিত কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে স্থানীয়ভাবে পরিত্যক্ত বলা হয় এমন একটি পুরনো বাড়ি—“তালুকদারবাড়ির” পাশে পৌঁছালে তিনি হঠাৎ আমগাছের ডগায় দেখতে পান এক ধরনের অস্বাভাবিক আলো। প্রথমে মনে হয়েছিল টর্চের বা মোবাইলের আলো। কিন্তু আলো যখন এক জায়গায় স্থির থেকে ঝলমল করতে থাকে, তখন কৌতূহল বাড়ে তাঁর। চোখ তুলে তাকাতেই দেখতে পান গাছের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে এক...

‘গরিব’ স্বামীর কোটিপতি স্ত্রী: চট্টগ্রামের দুই গৃহিণীর কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে দুদকের রহস্য উন্মোচন!

ছবি
চট্টগ্রামের দুই সাধারণ সরকারি কর্মচারীর আয়–রোজগার দেখে তাঁদের পরিবারকে অনেকেই সাধারণ মধ্যবিত্ত ভাবতেই পারেন। কিন্তু বাস্তব চিত্রটি একেবারে উল্টো। পুলিশ কনস্টেবল এবং সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের এক অফিস সহকারীর জীবনযাত্রা যেখানে সীমিত, সেখানে তাঁদের স্ত্রীদের নামে রয়েছে কোটি টাকার সম্পত্তি, বহুতল ভবন, দোকানপাট ও জমি। দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে—এই সম্পদের বিপরীতে কোনো বৈধ আয়ের উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং তাঁদের স্বামীদের দীর্ঘ চাকরিজীবনে অর্জিত জ্ঞাতআয়বহির্ভূত অর্থই স্ত্রীর নামে সম্পত্তি হিসেবে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি শুধু চমকে দেওয়ার নয়, বরং দেশের সরকারি চাকরিজীবী সমাজে অবৈধ সম্পদলুকানোর যেসব কৌশল প্রচলিত আছে, তার এক উন্মোচিত প্রতিচ্ছবি। চট্টগ্রামের দুই দম্পতির গল্প: কাগজে ‘গরিব’, বাস্তবে কোটিপতি দুই স্বামী— ১) পুলিশের সাবেক কনস্টেবল সেলিম হাওলাদার ২) সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের অফিস সহকারী মো. আলমগীর লাতু দুই স্ত্রী— জাহানারা বেগম (জিইসি মোড়–সংলগ্ন জাকির হোসেন বাই লেন) হাসিনা বেগম (চট্টগ্রাম পাথরঘাটা ব্রিক ফিল্ড বাই লেন) দুদক যখন তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে, তখন অবাক হয়ে যায় ত...